বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা বাংলাদেশের একটি অন্যতম রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। এটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম'আতের পতাকাবাহী একক ছাত্র সংগঠন। সংগঠনটি আদর্শিকভাবে বাংলাদেশের অন্যতম ইসলামী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাথে সংযুক্ত।
প্রতিষ্ঠা
----------------------------
আহ্বায়কসহ মোট এগারোজন সদস্য নিয়ে ১৯৮০ সালের ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম কলেজের পশ্চিমে দেবপাহাড়ে আহলা দরবার শরিফের খানকায়[৪] এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে।প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ছিলেন আল্লামা এম. এ. মান্নান।
প্রতিষ্ঠাতা
-------------------------------------
১।মাওলানা এম এ আব্দুল মান্নান
২।মাওলানা এম এ মতিন
৩।মাওলানা স উ ম আব্দুল সামাদ
৪।মাওলানা সৈয়্যদ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকাদেরী ....
৫।মাওলানা ক্বারী মোহাম্মদ আব্দুল হাই
৬।সৈয়্যদ মোহাম্মদ ইব্রাহীম
৭।মোহাম্মদ আকতার হোসেন নানটু
৮।মোহাম্মদ আলী হাসিন
৯।মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব
১০।মোহাম্মদ নাজমুল হাসান
১১।মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন মাহামুদ
সভাপতি
------------------------------------
প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি ছিলেন আল্লামা এম. এ. মান্নান। বর্তমান সভাপতি এইচ. এম. শহীদুল্লাহ
সাধারণ সম্পাদক
----------------------------------------------------------
সৈয়দ মুহাম্মদ খোবাইব
লোগো
------------------------------
লোগোতে একটি অর্ধ চাঁদের উপরে একটি তারা আছে এবং নিচে কোরআনের একটি আয়াতাংশ-"জা'ল হক ওয়া জা'হাকাল বাতিল" (সত্য এসেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে) লেখা আছে
পতাকা
----------------------------------
পতাকায় আড়াআড়িভাবে সাদা ও লম্বালম্বিভাবে উপরে কালো ও নিচে সবুজ রঙ থাকবে
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
-------------------------------------------------
কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
মূলনীতি
-------------------------------------
ঈমান, আক্বিদা, ঐক্য, শৃঙ্খলা, সুশিক্ষা, ত্যাগ ও সেবা।
কর্মসূচি
------------------------------
ছাত্রসমাজের মাঝে যথার্থ ইসলামী মূল্যবোধ সৃষ্টি করে তাদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আতের আদর্শে অনুপ্রাণিত করা এবং এ আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনের মাধ্যমে সুসংগঠিত করা।
সুশিক্ষা অর্জন এবং আদর্শ চরিত্রে চরিত্রবান হবার কর্তব্যবোধ জাগ্রত করা।
জ্ঞানের প্রসারকল্পে বিভিন্ন প্রকাশনা, পাঠাগার স্থাপন ও সমাজসেবামূলক কার্যের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং ভ্রান্তি প্রচারের পথরোধে স্বীয় কর্তব্যানুভূতি সৃষ্টি করা।
শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার এবং ছাত্রসমস্যা দূরীকরণের ব্যবস্থা করা।
কার্যক্রম
----------------------------
পারস্পরিক সমঝোতা ও সুসম্পর্ক স্থাপন
সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক সাধারণ সভা
সেমিনার ও আলোচনা সভা
রচনা, বক্তৃতা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা
পরিচিতি, সংগঠনের প্রকাশিত সাময়িকী, সংগৃহীত বই-পুস্তক বিতরণ ও পোস্টারিং
পালনীয় দিবস সমূহ
--------------------------------
২১ জানুয়ারি--প্রতিষ্ঠা দিবস[২][৩]
২১ ফেব্রুয়ারি---আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস[১১]
২৬ মার্চ--মহান স্বাধীনতা দিবস
১০ এপ্রিল শহীদ লিয়াকত দিবস[১২]
০৩ মে---শহীদ সাইফুল দিবস
১৩ মে---শহীদ নঈম উদ্দিন দিবস
১০ জুলাই---শহীদ হালিম দিবস
২৭ আগষ্ট----শহীদ আল্লামা ফারুকী (রহ.) দিবস
১৬ ডিসেম্বর---মহান বিজয় দিবস
স্বীকৃতি
--------------------------------
১৯৮৪ সালের ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে আয়োজিত এই সংগঠনের ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুগশ্রেষ্ঠ অলিয়ে কামেল, আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যক্তিত্ব হযরত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহঃ) বলেন─
“
ছাত্রসেনা আমাদের ঈমান রক্ষার সেনাবাহিনী।এটা আউলিয়া কেরামের সেনাবাহিনী। একে সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য।
”
তিনি আয়োজকদের হাতে এক হাজার এক টাকা দিয়ে উৎসাহ দান করেন।
বিক্ষোভ
-------------------
শায়খ নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ড
২০১৪ সালের ২৮ আগষ্ট বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার তৎকালীন সভাপতি নুরুল হক চিশতী এক প্রেস সম্মেলনে প্রয়াত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট নেতা ও প্রখ্যাত ইসলামী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ডে[১৪] জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে ২৯ আগষ্ট সারা দেশে অর্ধদিবস হরতাল পালনের ঘোষণা দেন। ২০১৫ সালের ২৬ আগষ্ট একই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবিতে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বর এলাকায় বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন
মূল নিবন্ধ: ২০১৮-র কোটা সংস্কার আন্দোলন
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার নেতা-কর্মীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা কোটা সংস্কারের আন্দোলনের পক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগি পাহাড়ের মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এছাড়া, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
শিক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবি
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির বিভিন্ন জেলা শাখা


0 Comments:
Post a Comment